স্টাফ রিপোর্টারঃ

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ্যের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৮১ লাখ ৫২ হাজার ৪৭৫ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়,পরিদর্শক ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের সহকারি শিক্ষা পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন জনসম্মুখে এই তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন।

জানা গেছে, ভবানীগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হাতেম আলী বিগত ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি, ফরমপুরণ, টিউশন ফি, প্রশংসাপত্র বিতরণ, নম্বরপত্র বিতরণ, সনদপত্র বিতরণ, পরীক্ষার প্রবেশপত্র বিতরণ, কেন্দ্র ফি হতে প্রাপ্ত অর্থ, কলেজের অভ্যন্তরীন পরীক্ষা ফি আদায়, ভবানীগঞ্জ মহুরীবার হতে প্রাপ্ত অর্থ, কলেজ ক্যাম্পাশের আম-কাঁঠালের বাগান বিক্রয় ও ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি আদায়সহ বিভিন্ন উৎস থেকে প্রচুর আয় থাকলেও অনার্স ও তৃতীয় শিক্ষকদের নিয়মিত বেতন-ভাতা না দিয়ে ২ কোটি ৮১ লাখ ৫২ হাজার ৪৭৫ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠে।

এ ছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী অনার্স ও তৃতীয় শিক্ষকদের শতভাগ বেতন-ভাতা কলেজ তহবিল হতে প্রদানের শর্ত থাকলেও জিও জারীর পর সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেন অধ্যক্ষ।

এই ঘটনায় কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞানের প্রভাষক আব্দুল জব্বার, রেজাউল করিম ও বাবর আলীসহ ২৩ জন শিক্ষকের স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সচিব, মহাপরিচালক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে দেওয়া হয়।

এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে জনসম্মুখে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারি শিক্ষা পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন।

তবে অভিযোগটি সম্পূর্ণই মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছেন অধ্যক্ষ হাতেম আলী।